ইবনে সাইয়াদকে যে কারণে নবীজী দাজ্জাল মনে করেছিলেন | Dajjal | দাজ্জাল পর্ব-২
দাজ্জাল পর্ব-১ পড়তে লিংকে ক্লিক করুন
ইবনে সাইয়াদ ও দাজ্জাল : নবীযুগে মদীনায় এক ইহুদী-পুত্র ছিল। নাম ছিল ইবনে সাইয়াদ। তার অলৌকিক কর্মকা-ের খবর শুনে নবীজী তাকে দাজ্জাল সন্দেহ করেছিলেন। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, একদা ওমর (রাযি.) কে সাথে নিয়ে নবীজী ইবনে সাইয়াদের খবর নেয়ার জন্যে গমন করলেন।
গিয়ে দেখেন- সে ছোট্ট বালকদের সাথে বনী মূসালতার দুর্গের কাছে খেলাধুলা করছে। সে সময় ইবনে সাইয়াদের বয়স ১৫ কাছাকাছি। অজান্তেই পিছনে গিয়ে নবীজী তার পিঠে মৃদু আঘাত করলেন। ইবনে সাইয়াদকে নবীজী বললেন- তুমি কি মান যে, আমি হলাম আল্লাহর রাসূল? ইবনে সাইয়াদ নবীজীর দিকে তাকিয়ে বলল- আমি আপনাকে মূর্খদের নবী মনে করি। অতঃপর সে পাল্টা নবীজীকে বলতে লাগল- আপনি কি মানেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল? নবীজী প্রত্যাখ্যানের সুরে বললেন- আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনলাম।
– তিনি বললেন- স্বপ্নে তুমি কি দেখ?
– সে বলল- কখনো সত্যবাদী আবার কখনো মিথ্যাবাদী দেখি।
-নবীজী বললেন-তোমার বিষয়টি তো গড়বড় মনে হচ্ছে!! আচ্ছা অন্তরে তোমার জন্যে একটি কথা লুকিয়েছি রেখেছি, বল তো সেটা কি?!!
– ইবনে সাইয়াদ বলল- (দুখ দুখ) ধোঁয়া!
-নবীজী (সা.) বললেন দূরে সর! নির্ধারিত সময়ের আগে তুমি কিছুই করতে পারবে না! (মূলত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অন্তরে তখন সূরায়ে দুখান স্থির ছিল। আর ইবনে সাইয়াদ ভ- হওয়ায় তা আঁচ করতে পারেনি। তাই সে দুখ দুখ উচ্চারণ করেছে।)
– উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে ওমর (রাযি.) বললেন হে আল্লাহর রাসূল! অনুমতি দিন- এক্ষুণি তার মস্তক নামিয়ে দিই!
-নবীজী বললেন-সে-ই যদি প্রকৃত দাজ্জাল হয়, তবে তোমার নয়; ঈসা বিন মারিয়াম এর হাতে সে নিহত হবে। আর যদি দাজ্জাল না হয়, তবে অনর্থক তাকে হত্যা করেই বা কি লাভ..!!” (মুসলিম ২৯২৪ হাদীস।)
সালেম বিন আব্দুল্লাহ বলেন- আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.)কে বলতে শুনেছি- “অতঃপর নবী করীম (সা.) উবাই ইবনে কাবকে সাথে নিয়ে ইবনে সাইয়াদের খেজুর বাগানে গেলেন। বাগানে প্রবেশের পর নবীজী খেজুর কা-ের পিছনে লুকিয়ে লুকিয়ে সামনে এগুতে লাগলেন।
ইবনে সাইয়াদ টের পাওয়ার আগেই যেন একা একা বসে সে যা বলছে, তা শুনতে পান। নবীজী তাকে দেখলেন, সে চাদরের বিছানায় গা এলিয়ে কি যেন ফিসফিস করছে। হঠাৎ তার মা এসে নবীজীকে দেখে বলতে লাগল ওহে সাফী (ইবনে সাইয়াদের ডাকনাম)! মুহাম্মদ এসে পড়েছে! ইবনে সাইয়াদ সজাগ হয়ে ফিসফিস বন্ধ করে দেয়। তখন নবীজী বলতে লাগলেন হতভাগী না আসলে আজই প্রকাশ হয়ে যেত (যে, সে দাজ্জাল না অন্য কিছু!) (মুসলিম ২৯৩১ নং হাদীস।)
ইবনে সাইয়াদ ও দাজ্জাল : নবীযুগে মদীনায় এক ইহুদী-পুত্র ছিল। নাম ছিল ইবনে সাইয়াদ। তার অলৌকিক কর্মকা-ের খবর শুনে নবীজী তাকে দাজ্জাল সন্দেহ করেছিলেন। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, একদা ওমর (রাযি.) কে সাথে নিয়ে নবীজী ইবনে সাইয়াদের খবর নেয়ার জন্যে গমন করলেন।
গিয়ে দেখেন- সে ছোট্ট বালকদের সাথে বনী মূসালতার দুর্গের কাছে খেলাধুলা করছে। সে সময় ইবনে সাইয়াদের বয়স ১৫ কাছাকাছি। অজান্তেই পিছনে গিয়ে নবীজী তার পিঠে মৃদু আঘাত করলেন। ইবনে সাইয়াদকে নবীজী বললেন- তুমি কি মান যে, আমি হলাম আল্লাহর রাসূল? ইবনে সাইয়াদ নবীজীর দিকে তাকিয়ে বলল- আমি আপনাকে মূর্খদের নবী মনে করি। অতঃপর সে পাল্টা নবীজীকে বলতে লাগল- আপনি কি মানেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল? নবীজী প্রত্যাখ্যানের সুরে বললেন- আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনলাম।
– তিনি বললেন- স্বপ্নে তুমি কি দেখ?
– সে বলল- কখনো সত্যবাদী আবার কখনো মিথ্যাবাদী দেখি।
-নবীজী বললেন-তোমার বিষয়টি তো গড়বড় মনে হচ্ছে!! আচ্ছা অন্তরে তোমার জন্যে একটি কথা লুকিয়েছি রেখেছি, বল তো সেটা কি?!!
– ইবনে সাইয়াদ বলল- (দুখ দুখ) ধোঁয়া!
-নবীজী (সা.) বললেন দূরে সর! নির্ধারিত সময়ের আগে তুমি কিছুই করতে পারবে না! (মূলত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অন্তরে তখন সূরায়ে দুখান স্থির ছিল। আর ইবনে সাইয়াদ ভ- হওয়ায় তা আঁচ করতে পারেনি। তাই সে দুখ দুখ উচ্চারণ করেছে।)
– উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে ওমর (রাযি.) বললেন হে আল্লাহর রাসূল! অনুমতি দিন- এক্ষুণি তার মস্তক নামিয়ে দিই!
-নবীজী বললেন-সে-ই যদি প্রকৃত দাজ্জাল হয়, তবে তোমার নয়; ঈসা বিন মারিয়াম এর হাতে সে নিহত হবে। আর যদি দাজ্জাল না হয়, তবে অনর্থক তাকে হত্যা করেই বা কি লাভ..!!” (মুসলিম ২৯২৪ হাদীস।)
সালেম বিন আব্দুল্লাহ বলেন- আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.)কে বলতে শুনেছি- “অতঃপর নবী করীম (সা.) উবাই ইবনে কাবকে সাথে নিয়ে ইবনে সাইয়াদের খেজুর বাগানে গেলেন। বাগানে প্রবেশের পর নবীজী খেজুর কা-ের পিছনে লুকিয়ে লুকিয়ে সামনে এগুতে লাগলেন।
ইবনে সাইয়াদ টের পাওয়ার আগেই যেন একা একা বসে সে যা বলছে, তা শুনতে পান। নবীজী তাকে দেখলেন, সে চাদরের বিছানায় গা এলিয়ে কি যেন ফিসফিস করছে। হঠাৎ তার মা এসে নবীজীকে দেখে বলতে লাগল ওহে সাফী (ইবনে সাইয়াদের ডাকনাম)! মুহাম্মদ এসে পড়েছে! ইবনে সাইয়াদ সজাগ হয়ে ফিসফিস বন্ধ করে দেয়। তখন নবীজী বলতে লাগলেন হতভাগী না আসলে আজই প্রকাশ হয়ে যেত (যে, সে দাজ্জাল না অন্য কিছু!) (মুসলিম ২৯৩১ নং হাদীস।)
No comments